যশোরের স্বাস্থ্য সহকারীরা চাকরিতে ১৪তম গ্রেড ও ‘টেকনিক্যাল পদমর্যাদাসহ ৬ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় চত্বরে চলে এ কর্মসূচি। এতে জেলার আটটি উপজেলা থেকে আসা স্বাস্থ্য সহকারীরা উপস্থিত ছিলেন।
‘বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন’ যশোর জেলা শাখার ব্যানারে এই কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্য সহকারীরা মাঠপর্যায়ে জনগণের পাশে থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছেন। অথচ তারা এখনো সরকারি স্বীকৃতি ও ন্যায্য মর্যাদা থেকে বঞ্চিত। তাদের চাকরির গ্রেড ও পদোন্নতিতে রয়েছে চরম বৈষম্য।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন দাবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড বহন করেন। তারা দাবি আদায়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
তাদের ছয় দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে উচ্চতর গ্রেড নিশ্চিত করা। স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের প্রশিক্ষণ ছাড়াই স্নাতক স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করা, বেতন স্কেল পুননির্ধারণের সময় টাইম স্কেল বা উচ্চতর স্কেল সংযুক্ত করা, ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা সম্পন্নকারীদের স্নাতক সমমানের স্বীকৃতি দেওয়া। নিয়োগবিধি সংশোধন করে শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে স্নাতক (বিজ্ঞান) সংযুক্ত করা। বর্তমান ১৬তম গ্রেডের পরিবর্তে ১৪তম গ্রেড প্রদান এবং ধাপে ধাপে ১১তম গ্রেডে উন্নিতকরণ।
সংগঠনের যশোর জেলা সভাপতি মহিদুল ইসলাম সবুজ বলেন, স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের যেকোনো আন্তর্জাতিক অর্জনের পেছনে মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য সহকারীদের অবদান সবচেয়ে বেশি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তারা অবহেলিত ও বৈষম্যের শিকার। এ কারণে আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি। সরকারের প্রতি আহ্বান, স্বল্প সময়ের অন্তর্বর্তীকালীন মেয়াদেই আমাদের ন্যায্য ছয় দফা দাবি বাস্তবায়ন করুন।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান, সহসভাপতি রবিউল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক এনামুল কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, অর্থ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, উপদেষ্টা আসাদুর রহমান, শাহনাজ পারভীন প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এনএম